ডেস্ক রিপোর্ট: “আওয়ামী দুঃশাসনের ভয়াবহতায় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ এখন মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে। বিরোধী দলগুলোকে নিশ্চিহ্ন করতে ধারাবাহিকভাবে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের এবং গ্রেপ্তার করে কারান্তরীণ করা হচ্ছে।”
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
আগ্রহী হলে ক্লিক করুন (www.bdwebsite.net)
তিনি বলেন, মধ্যরাতের ভোটের সরকারের দুঃশাসনে এখন মানুষের জানমালের ন্যূনতম নিরাপত্তাও নেই। ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে বাড়ি ফেরার সামান্যতম গ্যারান্টি নেই।
তিনি আরও বলেন, চারদিকে গুম, খুন, অপহরণ, হামলা ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে দেশবাসী সর্বদা আতঙ্কিত। বিএনপিসহ দেশের অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার অর্থাৎ সভা, সমাবেশ ও মিছিল করার সংবিধান স্বীকৃত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম জামালের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলা ও আহত করা এবং শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনকালে কুষ্টিয়া জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় সংসদের খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম গোলাম কবির, কৃষকদল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আল আমিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার জাহান সেন্টুসহ একই জেলার আরও ১০ জনকে গ্রেপ্তারের ঘটনা আওয়ামী জুলুমবাজ সরকারের নিষ্ঠুর শাসনেরই নিরবচ্ছিন্ন অংশ। কিন্তু এভাবে নির্যাতন-নিপীড়ন ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও গ্রেপ্তার করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না। আওয়ামী সরকারের বিদায় নেওয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে।
বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম জামালের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান। তিনি গ্রেপ্তারকৃত কৃষকদল নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারসহ অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন।