ডেস্ক রিপোর্ট: ঘূর্নিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে ভারতের উপকূলে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও, বিভিন্ন অঞ্চলে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। অশনির প্রভাব যখন শেষ হওয়ার পথে ঠিক তখনই নতুন ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির খবর জানালো যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।

গত ৮ মে ভারত মহাসাগরের উত্তর এবং দক্ষিণে ওই জোড়া ঘূর্ণিঝড়ের ছবি নাসার উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ে। ‘অশনি’র পাশাপাশি অন্য যে ঘূর্ণিঝড়ের ছবি নাসা তুলেছে সেটির নাম ‘করিম’।

Advertisement
কম খরচে বীর বাঙালির মতো নিউজপেপার ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান?

আগ্রহী হলে ক্লিক করুন (www.bdwebsite.net)

‘করিম’কে প্রথম শ্রেণির হারিকেন ঝড় হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে নাসা। যদিও এটি এখনও ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে অনেকটাই দূরে রয়েছে। তবে নাসার ব্যাখ্যা অনুযায়ী ‘অশনি’ যেখানে নিরক্ষরেখার উত্তরে রয়েছে, সেখানে ‘করিম’কে দেখা গিয়েছে নিরক্ষরেখার দক্ষিণে। তবে ছবি দেখে অনুমান শক্তির দিক থেকে ‘অশনি’র থেকে কিছুটা বেশি শক্তিশালী এই দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড়টি।

‘করিম’ ভারত মহাসাগর থেকে ‘অশনি’র অনুবর্তী হয়ে বঙ্গোপসাগরে বা ভারতের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করবে কি না সে ব্যাপারে কিছু বলেনি নাসা। তবে এই দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড়টির ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা নিয়ে একটি পূর্বাভাস দিয়েছে। নাসা জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি শক্তিশালী হলেও এর হাওয়ার ঘূর্ণন উল্টোদিকে। নাসা জানিয়েছে এই ঘূর্ণি একটু তীব্র সামুদ্রিক হাওয়ার মুখোমুখি হলে শক্তিক্ষয় করতে পারে। সেক্ষেত্রে স্থলভাগে প্রবেশ করলেও তা থেকে বড় ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা কম।

তবে ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে যেখানে রয়েছে তার কাছেই একটি ছোট্ট দ্বীপ কোকোজ আইল্যান্ড। মাত্র ৬০০ জন বাসিন্দার ওই দ্বীপে ‘করিম’ এর প্রভাবে কিছুটা ক্ষতি হলেও হতে পারে।

‘অশনি’ আর ‘করিম’-এর ছবি প্রকাশ করে নাসা জানিয়েছে, মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় দু’টির প্রভাব যেমনই হোক উপর থেকে ঝড় দুটিকে দেখতে দারুণ লাগছে।